দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি!
মানুষ আজীবন প্রেম, ভালবাসা, অন্যের সাহচর্যের জন্য এবং সুখী হওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। এ থেকেই দুজন নরনারীর মধ্য সুন্দর বন্ধন হয়। বিয়ের মাধ্যমে এ বন্ধনের সুত্রপাত হয় সুখ ও পরিপূর্ণতার আশায় - কিন্তু এটা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।একে রপ্ত করার কোন বিকল্প নেই। দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার উপায় নিয়ে আজকের লিখার বিষয়বস্তু।
বিবাহিত জীবন মানব জীবনের অন্যতম ভাইটাল পার্ট। একে পাশ কাটিয়ে সুখের স্বাদ খুঁজা- অরণ্য রোদন ছাড়া আর কিছুই নয়।বিবাহিত জীবনে সুখের স্বাদ নিতে পরস্পরকে সম্মান, সৎ থাকা, শারীরিক ও মানসিক এবং নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি করার প্রয়োজন আছে।
তাই চলুন নরনারীর সেই সুন্দর বন্ধনকে আরো সুদৃড় করার জন্য হাজারো ঊপায় থেকে - দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি বা কৌশল জানতে নিম্নের আলোচনায় মনোযোগ দিন।
পেজ সুচীপত্র
- ভুমিকা ❘ সুখী দাম্পত্য জীবনের বা সংসার জীবনের জন্য চাণক্যের নীতি
- দাম্পত্য জীবন বা বিবাহিত জীবন বা বিয়ে পরবর্তী জীবন বা সংসার জীবন কাকে বলে?
- চাণক্য নীতি কি? এর প্রবক্তা কে? কেন চাণক্য নীতি বিবাহিত নারী পুরুষের কাছে এত বেশি জনপ্রিয়?
- দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি বা কৌশল বা উপায়
- উপসংহার ❘ সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি, জানায় চাণক্য নীতি
ভুমিকা। সুখী দাম্পত্য জীবনের বা সংসার জীবনের জন্য চাণক্যের নীতি
আমাদের ইহকালের অর্ধেকেরও বেশি সময় কাটে দাম্পত্য জীবনে। দাম্পত্য জীবন মানে বিবাহিত জীবন। অন্যভাবে বললে - স্বামী স্ত্রীর একসঙ্গে বসবাস করাটাই দাম্পত্য জীবন। এ জীবন শুরু করা হয় সুখের আশায় কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বিবাহিত যুগলরা বা স্বামী-স্ত্রীরা সুখের পরিবর্তে অসুখের মধ্য দিয়ে দিন পার করে।
এভাবে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলে সংসার জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে এক সংগে থাকা স্বামী স্ত্রী দুজনের কাছে নরকে থাকার সমতুল্য হয় - যা হওয়া মোটেও কাম্য নয়। সংসার জীবনকে উপভোগ করার কোন বিকল্প নেই। যদি আপনার বৈবাহিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে বাপ-মা এবং সন্তানাদির সাথে হেসে খেলে জীবন পার করতে চান?
সংসার জীবন ইহকালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাই এ জীবনকে সুখী করার জন্য অনেক পন্ডিত, দার্শনিক এবং ধর্ম বিশারদরা মহা মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। পন্ডিতদের মধ্যে আমরা অনেকেই মহামতি চাণক্যকে সেরা পন্ডিত মনে করি। তিনিও বৈবাহিক সম্পর্ককে মধুর বা সুখী করার জন্য বিভিন্ন বানী বা নীতি বা কৌশল শিখিয়েছেন যা সবার কাছে বর্তমানে সমাদৃত।
তাঁর পরামর্শ গুলো মেনে চলতে পারলে প্রাত্যহিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বেশ চমৎকার থাকে। জীবন পথে চলতে গিয়ে যে দুঃখ দুর্দশা মোকাবেলা করতে হয় তা সহজেই স্বামী-স্ত্রীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার পাওয়া যায়। দাম্পত্যে সুখ চাইলে বা স্বামী-স্ত্রীর স্বর্গীয় সম্পর্ককে আরো দৃঢ় থেকে দৃড়তর করতে চাণক্যের পাঁচটি নীতি আপনি বিবাহিত হলে জানা একান্ত জরুরী।
দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি এর গভীরতা ও এর মর্মাথের কার্যকারিতা বুঝতে হলে এবং আস্থায় নিতে হলে দাম্পত্য জীবন ও চাণক্য নিয়ে একটা আইডিয়া থাকা দরকার।
দাম্পত্য জীবন বা বিবাহিত জীবন বা বিয়ে পরবর্তী জীবন বা সংসার জীবন কাকে বলে
প্রকৃতিগতভাবে নর নারীকে আকর্ষণ করে এবং নারী নরকে আকর্ষণ করে। প্রাপ্ত বয়সে পরস্পর একত্র হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। এই একত্র হওয়াকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য প্রত্যেক ধর্মেই বিয়ের প্রথা প্রচলিত আছে। বিয়ে একটা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পত্র। বিয়ে সবচাইতে প্রাচীন এবং ছোট একটি প্রতিষ্টান। এখানে এক পক্ষ এক জন নর এবং আরেক পক্ষ এক নারী। একে কেউ বলে সংসার জীবন আবার কেউ বলে বিয়ে পরবর্তী জীবন।
বিয়ের মাধ্যমে দু জন নর-নারী মৃত্যু অবধি একে অপরের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপনের অঙ্গীকার বা চুক্তি করে।এ চুক্তি বলে নর ও নারী যথাক্রমে স্বামী ও স্ত্রী নামে অভিহিত হয়। শত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও স্বামী- স্ত্রীর এক সাথে যাপিত জীবনকে দাম্পত্য জীবন বলে।
দুর্দান্ত বিবাহ হলো অংশিদারিত্ব। অংশীদারি না হয় এটি দুর্দান্ত বিবাহ হতে পারে না। – হেলেন মিরেন
রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে পরিবার পরিচালনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আস্থা স্থাপনে সফল হতে প্রাচীন ভারতের পন্ডিত, দার্শনিক ও উপদেষ্টা কিছু চিরন্তন সত্য কথা বলেছেন। তার আলোকে আজকের আর্টিকেল-দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি শেয়ার করলাম। আমি নিশ্চিত - আপনাদের কাজে লাগবে।
চাণক্য নীতি কি? এর প্রবক্তা কে? কেন চাণক্য নীতি বিবাহিত নারী পুরুষের কাছে এত জনপ্রিয়?
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যখনই কোন ব্যক্তির কুট বুদ্ধি নিয়ে কথা বলি তখনই ওই বুদ্ধিকে চাণক্যের বুদ্ধি বলি। জীবনে খুব কম ব্যাক্তিই আছেন চাণক্য নীতি শব্দটি শুনে নাই।প্রাচীন ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ইতিহাসের সফল নায়ক হচ্ছেন চাণক্য(খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০-২৮৩ অব্দ)। তাকে অনেকেই মহামতি হিসেবে মানেন।তার বাবার নাম চনক ঋষি। চনক ঋষির সন্তান বলেই তার নাম হয় চাণক। অনেকেই আবার মনে করেন চানকা গ্রামে তার জন্ম বলেই তিনি চাণক্য নামে পরিচিত। কখনো কখনো তিনি বিষ্ণু গুপ্ত নামেও পরিচিত। মহামতি চাণকের বিখ্যাত ছদ্মনাম কৌটিল্য। কুটিল বুদ্ধির প্রবক্তা থেকেও সম্ভবত তার নাম কৌটিল্য। অনেকে আবার মনে করেন তিনি কুটিলা গোত্রভুক্ত হওয়ার কারণে তার নাম কৌটিল্য হয়েছে।
নন্দ বংশ রাজবংশের শেষ রাজার নাম ছিল ধনানন্দ। রাজা ধনানন্দকে প্রজারা মোটেও পছন্দ করতেন না। তার সৎ ভাইয়ের নাম ছিল চন্দ্রগুপ্ত। পিতামহের মৃত্যুর পরে তিনি তার দাসী মাতা ও সৎ ভাইকে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করেন। জীবন বাঁচাতে চন্দ্রগুপ্ত জঙ্গলে গিয়ে নির্বাসিত জীবন চালিয়ে যেতে থাকেন। এতে সে নিজেকে বেশ অপমানবোধ করেন। অপমানের প্রতিশোধ হিসেবে তার ভাই ধনানন্দকে পরাজিত করে রাজা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান।
মহারাজা ধর্মানন্দের পিতার মৃত্যুর শেষকৃত্য করার জন্য একজন ব্রাহ্মণের প্রয়োজন হয়। ব্রাহ্মণ খুজাঁর দায়িত্ব এসে পড়ে মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য ‘শকটার’ উপর। তিনি চাণককে ব্রাহ্মণের দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেন। অনুরোধ অনুযায়ী চাণক্য যথাসময়েই পুরোহিতের আসন গ্রহণ করেন।
রাজা ধণানন্দ চাণক্যকে দেখে খুবই খুব্ধ হন। কারণ তাঁর চেহারা কদাকার ছিল। এক পর্যায়ে তাকে পুরোহিতের আসন থেকে তাড়িয়ে দিলেন।পন্ডিত চাণক্য রাজা কে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে বিফল হন। এতে চাণক্য নিজেকে বেশ অপমানিত বোধ করলেন এবং তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন এই অপমানের প্রতিশোধ তিনি নিবেন।
এদিকে ঘটনাচক্রে জঙ্গলে নির্বাসিত চন্দ্র গুপ্তের সঙ্গে চাণক্যের দেখা হয়। চন্দ্রগুপ্ত চাণক্যকে তার ওপর ঘটে যাওয়া অন্যায়ের কথা খুলে বলেন এবং তার কাছে বুদ্ধি পরামর্শ ও সাহায্য কামনা করেন। চাণক্য ছিলেন বিশাল প্রতিভা সম্পন্ন ও প্রতিভাধর সূক্ষ্ম ও কার্যকর কুটিল বুদ্ধি প্রদানে পটু।পন্ডিত চন্দ্রগুপ্ত তাকে তার উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নেন।
চাণক্যের বুদ্ধি পরামর্শে চন্দ্রগুপ্ত একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। তার সুনিপুন ও কুটিল বুদ্ধি ধনানন্দকে পরাজিত করে মগদের সিংহাসন দখলে নিতে সাহায্য করে। রাজাসন দখলে নেওয়ার পরে দাসী মাতা মুরার নাম অনুসারে নন্দ রাজবংশের নাম করে ‘মৌর্যবংশ’ করেন এবং পন্ডিত চাণক্যকে তার মন্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। মৌর্য রাজ বংশ টিকে ছিল ৩২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত।
রাজা চন্দ্র গুপ্তের প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাঁকজমক পূর্ণ বিলাসবহুল প্রাসাদে জীবনযাপনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে সাধারণ সন্ন্যাসীর মত জীবন যাপন করতেন এবং বাসস্থান হিসেবে বেছে নিলেন একটি শ্মশান লাগোয়া কুড়ে ঘরকে। গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের মত তার চেহারা কদাকার ছিল কিন্তু পান্ডিত্যে সক্রেটিসের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
চাণক্য মনে প্রাণে ধারণ করতেন দেহের সৌন্দর্যের চাইতে চিন্তার সৌন্দর্য অধিকতর সুন্দর ও এর প্রভাব জাদুতুল্য। পরিকল্পনা প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত প্রদানে তার তুলনা তিনি নিজেই। রাজা চন্দ্র গুপ্তকে সব কুটনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরামর্শ দিয়ে রাজ্য পরিচালনায় নির্ভুল শাসকে পরিণত করেন।
রাজা চন্দ্রগুপ্ত চাণক্যকে দার্শনিক, প্রধান পরামর্শক,প্রধানমন্ত্রী এবং প্রিয় অভিভাবক হিসেবে মনে জায়গা দেন। শ্মশান লাগোয়া কুড়ে ঘরে করে বসবাস করে রাজ্য পরিচালনার পরামর্শ ছাড়াও অসংখ্য ভক্তদের, সাধারণ নাগরিকদেরকে সামাজিক, নৈতিক এবং আর্থ সামাজিক বিষয়ে তিনি মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করতেন।
চাণক্য তার প্রতিটি উপদেশকে অর্থের সাথে মেলাতেন। রাজ্যকে নির্ভুল শাসনের জন্য এবং সাধারণ নাগরিকেরা যাতে যোগ্য নাগরিকে পরিণত হয় তার জন্য ‘অর্থশাস্ত্র’ নামে চাণক্য এক কালোর্ত্তীন গ্রন্থের মাধ্যমে তার কৌশলগুলো প্রকাশ করেন।
চাণক্যের কুটিল পরামর্শ ও নির্দেশনা গুলো শুধু রাজ্য শাসনের জন্য নয়, এ যুগের কর্পোরেট হাউস থেকে শুরু করে স্বামী স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কে বা সংসার জীবনে বা দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য় চাণক্য ৫টি কার্যকর নীতি বা ফর্মুলার কার্যকারিতা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই।
তার উপদেশ বাণী বা নীতিগুলো এতটাই কার্যকর যে প্রতিটি মানুষ তার সাফল্যে কামিয়াব হতে তার বাণী গুলো অনুসরণ করে। কারণ কুটিল বুদ্ধি দ্বারা নন্দরাজ বংশের সাম্রাজ্যকে পরাজিত করে মৌর্য বংশের মৌর্য সম্রাট চন্দ্র গুপ্তকে প্রাচীন অখণ্ড ভারতের রাজাসনে বসাতে পেরেছিলেন চাণক্য।
তবে মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসন অবসানে চাণক্য নীতিগুলো অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এরপর ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে আবার চাণক্যের ‘অর্থশাস্ত্র’ পুনরাবিস্কৃত হয়। আমরা অনেকেই মনে করি - বর্তমান ভারত চাণক্যের নীতিতে চলে এবং তাঁর বিষয়ে বিস্তর গবেষনা চলমান।
তার নীতি সমুহ যে কত প্রাসংগিক- তার প্রমান হচ্ছে আজ ২৩০০ বছ্রর পরেও - তার নীতি বাক্যগুলো সমর নায়ক, রাষ্ট্রনায়ক এবং যে কোন বড় কর্পোরেট হাউসের বড় কর্তার টেবিলে শোভা পায়। চাণক্যের অর্থশাস্ত্র হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ উপবেদের অন্তর্ভুক্ত। এতে প্রমান হয় যে তার নীতি বাক্য গুলো বাস্তব জীবনের পদে পদে সত্য প্রমাণিত হয়।
তার উপদেশ গুলো নিশ্চয়ই কোন মামুলি বিষয় নয় এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি নিয়ে তিনি তার অর্থশাস্ত্রে বাতলিয়ে দিয়েছেন। চলুন চাণক্য তাঁর ৫টি নীতিতে কি বলেছেন তা জানার জন্য নিম্নের আলোচনা টুকু পড়ুন।
দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি বা কৌশল বা উপায়
১. পরস্পরকে সম্মান করুন
২. প্রেম ভালবাসাই সর্ম্পক দৃড় করে
৩. সততাই সর্ম্পক টিকিয়ে রাখে
৪. মানসিক সুখে নজর দিন
৫. নিরাপত্তাবোধই সর্ম্পক এগিয়ে নিয়ে যায়
উল্লেখিত ৫টি নীতির প্রতিটি মানব মনের চাহিদার সাথে মিলে যায়। তাই দাম্পত্য সুখী হওয়ার স্বাদ নিতে চাণক্যের ৫টি নীতি মানুষের মনের বিজ্ঞানের সাথে খাপ খেয়ে প্রমান করে যে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি নিয়ে কোন তর্ক নেই। আমরা এখন আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে। এবার চলুন-সমাপনী বক্তব্যে।
উপসংহার ❙ সুখী দাম্পত্য জীবনের চাবিকাঠি, জানায় চাণক্য নীতি
- পরস্পরকে সম্মান করুন।
- একমাত্র প্রেম ভালবাসাই সম্পর্ক দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করে।
- সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৎ থাকার কোন বিকল্প নেই।
- মানসিক এবং শারীরিক সুখ উপভোগে নিজের সাধ্যটুকু করুন।
- একে অপরের প্রতি নিরাপত্তাবোধ জাগ্রত হওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিন।
আমাদের লেখা আপনার কতটুকু উপকারে লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্টে জানান।আপনার বন্ধুদের কাছে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চাণক্যের ৫টি নীতি সর্ম্পকিত এই পোস্টটি পৌঁছাতে দয়া করে শেয়ার করুন। এতক্ষন পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি ভালো থাকলেই আমাদের ভালো থাকার সার্থকতা নিহিত থাকে।
Disclaimer:এই আর্টিকেলটি অনলাইনের বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। রাইট এন্ড গ্রু কাউকে মানতে বাধ্য করছে না।
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন