রাইট এন্ড গ্রু https://www.wewritengrow.com/2023/02/blog-post_18.html

কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায়?

জীবন মহান স্রষ্টা কতৃক প্রদত্ত উপহার যা পুরোপুরি উপভোগ করা উচিত। কিন্তু আমরা কয়জন এই সুন্দর জীবন উপভোগ করতে জানি? আপনারা যারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তারা আসলে জানতে চাচ্ছেন, ‘কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় বা জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় বা সুন্দর জীবন কিভাবে প্রত্যাশা করা যায় বা   কি করলে জীবনে সুখী হওয়া যায়’ তাই নিয়ে। যদি তাই হয়, তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। এর সপক্ষে একটা নিম্নের সমীক্ষার কথা আপনার আর্টিকেলটি পড়ার যৌক্তিকতা প্রমান করে। 

শুধুমাত্র ৩৩ শতাংশ আমেরিকানরা নিজেদের সুখী মনে করেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে জনসংখ্যার একটি বৃহত্তর অংশ তাদের জীবনে আনন্দ এবং পরিপূর্ণতা খুঁজে পেতে সংগ্রাম করে। - সূত্র: হ্যারিস পোল। (২০১৭) হ্যাপিনেস ইনডেক্স: আমেরিকানরা খুব সুখী নয়।)


তাই ‘জীবন কিভাবে সুন্দর কর যায়’ তার জন্য  ১০০০টা  উপায় থেকে  অর্জনযোগ্য মাত্র ১০ টি উপায় নিয়ে আজকের  আর্টিকেলটি লিখব। এই আর্টিকেলে ‘সুন্দর জীবন কিভাবে প্রত্যাশা করা যায়, তা জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


তাহলে চলুন আর দেরী নয়। কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় সে ব্যাপারে সবচেয়ে প্রভাবশালী  ১০ টি উপায়ের গভীরে যাওয়া যাক। এ জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে আপনি আর্টিকেলটি  পড়বেন।


পেজ সুচিপত্র

জীবনের অর্থ কি বা জীবন মানে কি

কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় সে ব্যাপারে ভালভাবে জানতে হলে জীবনের অর্থ কি বা জীবন মানে কি তা জানা জরুরী। জীবনের মানে কি এটি একটি জটিল এবং বিমূর্ত ধারণা যা বিজ্ঞানী, দার্শনিক এবং ধর্মতাত্ত্বিকদের দ্বারা বহু শতাব্দী ধরে নানান বিতর্ক করা হয়েছে। এখনো এর সুরাহা হয়নি। মনে হয় হবেওনা। 


পাঠক হিসাবে আপনার এটা মানতে হবে যে, জীবনের সংজ্ঞা মোটেও এখন পর্যন্ত নিখুঁত নয়। জীববিজ্ঞান এবং জৈবপ্রযুক্তির নতুন নতুন ধারনা জীবনের নতুন বা সংশোধিত সংজ্ঞা নিয়ে আসতে পারে। উপরন্তু, দার্শনিক, ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের নানা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয়েছে যা বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা থেকে ভিন্ন হতে পারে। 


সহজ কথায় বলতে গেলে, যে জিনিসের প্রান আছে অর্থাৎ চলাচল করার ক্ষমতা আছে তার জীবন আছে বলে মনে করা হয়।


উপভোগ মানে কি

এবার চলুন কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় টাইটেলের সাথে জড়িত - উপভোগ মানে কি বিষয়ে।উপভোগ হল একটি ইতিবাচক বা পজেটিভ শব্দ। যার দ্বারা মানুষের মানসিক অবস্থা  সুখ, তৃপ্তি এবং আনন্দের অনুভূতি বুঝা যায়। 


আমাদের জীবনে উপভোগকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তা না হলে জীবনের স্বার্থকতা কোথায়? উপভোগ বিহীন জীবন আর জড় পদার্থের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। সোজা কথায়-সুখ, তৃপ্তি এবং আনন্দহীন জীবন পার করা মানে সারাটা জীবন নিজের জীবন্ত মৃত দেহ বয়ে বেড়ানো।


জীবনের মতো উপভোগও হল একটি বির্তকিত ধারণা। যুগে যুগে বহু বিজ্ঞানী, দার্শনিক এবং ধর্মতাত্ত্বিকেরা এ বিষয়ে বহু শতাব্দী ধরে ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। মানুষ কিসে উপভোগ করে তা জনে জনে ভিন্ন রূপ পায়। এর বাস্তবতা একটা উদাহরণের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে। 


ধরুন, একটা গান রের্কডের সাথে তিন জন ভিন্ন ব্যাক্তি জড়িত থাকে। একজন গান লিখে আনন্দ পান, অন্য জন গানের সুর করেন এবং সবশেষে অন্যজন কন্ঠ দিয়ে শোনার উপযোগী করে দর্শককে আনন্দ দেন। তার মানে বুঝা গেল, একেক মানুষ একেক কাজে সুখ, তৃপ্তি এবং আনন্দ উপভোগ করে।


প্রিয় পাঠক, আপনি আমি প্রায় সবাই জীবন উপভোগকে খুব সহজ ব্যাপার মনে করি। কিন্তু ঘটনা আসলে অত সরল নয়। 

২০১৫ সালে জার্নাল অফ পজিটিভ সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অনেক ব্যক্তি যারা চাপে পড়ে বা বাধ্যতামুলকভাবে কোন কাজে জড়িত ছিল অথবা করা উচিত এমন টাইপের  ক্রিয়াকলাপে জড়িত ছিল তারা জানিয়েছন যে, তাদের কাছে তাদের কাজ আনন্দদায়ক বা অর্থপূর্ণ ছিল না । গবেষনায় আরো দেখা গেছে যে এই ব্যক্তিরা শারীরিক সুস্থতা এবং জীবন উপভোগের  দিক থেকে খুবই নিম্ন মানের।

জীবন এবং উপভোগ সমান্তরাল গতিতে চলে। এটা যেন মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ। জীবনে সত্যিকারের পরিপূর্ণতা খুঁজে পেতে জীবনকে উপভোগের কোন বিকল্প নেই।অন্যের প্ররোচনায় নয়, সম্পুর্ন নিজের ইচ্ছায় আপনার যা করতে ভাল লাগে তা করতে পারা মানে হচ্ছে, আপনি জীবনকে উপভোগ করছেন।


এতক্ষন জীবন  এবং উপভোগ মানে জানার পর  জীবনকে উপভোগের যে সহজ কোন পথ নেই তা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। তাই জীবনকে কিভাবে উপভোগ করতে অসংখ্য উপায় থেকে নিয়মিত রপ্ত করা যায় এরকম ১০ টা উপায় নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।


তাই আর দেরি নয়।কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় সে ব্যাপারেযুগান্তকারী ১০ টি উপায়ের গভীরে চলুন।

জীবনকে উপভোগের ১০টি উপায়

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা

জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় তা জানতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন করার গুরুত্ব অপরিসীম। 


একটা উদাহরনের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা বুঝানো যেতে পারে। মনে করুন, একজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন  মানুষ এবং একজন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন মানুষ উভয়েই একই সমস্যার সম্মুখীন  হয়েছেন - পূর্ব নির্ধারিত কোন ভ্রমনে তাদের ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।


এমতাবস্থায় নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ওয়ালা ব্যক্তিটি হতাশ হয়ে যাবে। সবকিছুকে স্বাভাবিকভাবে না নিয়ে বিমানবন্দরে অপেক্ষাকে একটা দুঃসহ বিপর্যয় হিসাবে নিয়ে চরম অশান্তিতে বাকি সময় কাটাবে। সে ছটপট করবে। মনে করবে যেন, মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে।


অপরদিকে, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ওয়ালা ব্যক্তি ফ্লাইট বিলম্বকে একটি সুযোগে রূপান্তর করবে। যেমন, সে ঐ সময়ে ব‌ই পড়ে বা সিনেমা দেখে বিলম্বিত সময়কে একটা সারপ্রাইজ হিসাবে নিতে পারে। ফ্লাইট বিলম্বকেও সে তার ব্যাক্তিগত উন্নতির কাজে লাগাবে।


প্রিয় পাঠক,  এই উদাহরণটি দিয়ে বুঝা যায় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন‌ দিয়ে জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় তার উপায় বুঝানো হয়েছে।


এক কথায়- দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান, জীবন পাল্টে যাবে। 

কারো কাছ থেকে ছোট বড় যে কোন সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং প্রশংসা করা একটি আনন্দময় জীবন উপহার দিতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।প্রিয় পাঠক এতক্ষন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা  সুবিধা আলোকপাত করলাম। 


চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তার ২য় উপায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং প্রশংসা করার অভ্যাস এর ক্ষমতানিয়ে। সে ব্যাপারে জানতে নিম্নের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং প্রশংসা করার অভ্যাস অংশে চলুন।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং প্রশংসা করার অভ্যাস

সুন্দর জীবন কিভাবে প্রত্যাশা করা যায় তা জানতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং প্রশংসা করার অভ্যাস এর

গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনীতির ভাষায় চাহিদা অসীম যোগান সীমিত অর্থাৎ যোগানের তুলনায় অভাবও অসীম। ছোট বড় যে কোন ব্যক্তিই যখন কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশ করতে জানে সে অটোমেটিক্যালি অল্পতেই  সন্তুষ্ট হতে জানে।


ব্যাপারটাকে একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যেতে পারে। ধরুন, একজন ব্যক্তি যিনি তার দৈনন্দিন কাজ নিয়ে প্রচন্ড চাপ অনুভব করেন এবং হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু উনার মধ্যে যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার স্বভাব থাকে তাহলে প্রচন্ড চাপকে  মেনে নিয়ে বরং তার স্বাস্থ্য , প্রেমময় সম্পর্ক এবং তার যে বসবাস করার জন্য একটা ঠিকানা রয়েছে, তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে বরং কৃতজ্ঞতায় মাথা নোয়াতে কার্পণ্য করেনা।


এই অল্পতেই সন্তুষ্টি মেনে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি তাকে না পাওয়ার বেদনা থেকে রেহাই দেয় এবং আনন্দ ও তৃপ্তির অনুভূতিতে ডুবিয়ে রাখে। কারো কাছ থেকে ছোট বড় যে কোন সাহায্যের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং প্রশংসা করা একটি আনন্দময় জীবন উপহার দিতে অনন্য ভূমিকা পালন করে।


প্রিয় পাঠক এতক্ষন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং প্রশংসা করার অভ্যাস এর প্রয়োজনীয়তা আলোকপাত করলাম। চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তার ৩য় উপায় নিজেকে ভালোবাসো,র ভুমিকা নিয়ে। সে ব্যাপারে জানতে নিজেকে ভালোবাসো নিয়ে আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

নিজেকে ভালোবাসো

কি করলে জীবনে সুখী হওয়া যায় তা জানতে নিজেকে সময় দেওয়ার কোন বিকল্প নেই। আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বাড়াতে এবং জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে নিজেকে ভালোবাসোর গুরুত্ব অপরিসীম।


নিজেই নিজেকে ভালো না বাসলে আপনি কিভাবে আশা করেন অন্য একজন আপনাকেভালোবাসবে?


নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে একটা উদাহরণের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। ধরুন, আপনি একজন  অত্যন্ত ব্যস্ত কর্মজীবী। আপনি কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় দিচ্ছেন এবং আপনার পরিবারের   যত্নের  কোন কমতি করছেন না। 


এভাবে করতে থাকলে  আপনার শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং আপনার কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে। সময়ের পরিক্রমায়  আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনের  সুখ কেড়ে নিতে মোটেও কার্পণ্য করবে না। আপনার প্রতিদিনের রুটিনে নিজের প্রতি যত্নস্বরূপ কিছু শারীরিক ব্যায়াম অনুশীলন করতে হবে,  যা আপনার  শারীরিক ও মানসিক চাপকে পরাজিত করবে। 


উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি সতেজ  স্নানের জন্য প্রতিদিন ২০-৩০  মিনিট বরাদ্দ রাখতে পারেন,  প্রকৃতির ছোঁয়ার জন্য হাঁটতে যেতে পারেন, ধ্যান অনুশীলন করতে পারেন, বা আপনার পছন্দের কিছু করতে সময়  ব্যয় করতে পারেন, যেমন বই  পড়তে এবং গান শুনতে পারেন। 


‘নিজেকে ভালোবাসো’ (নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া এবং নিজেকে সময় দেওয়া) ফর্মুলা আপনার মেজাজ এবং আপনার সক্ষমতাকে কখন যে জয় করে ফেলবে তা আপনি টেরও পাবেননা। আপনি আপনার জীবনের সব ক্ষেত্রে সব সময় সেরাটা দিতে পারবেন এবং জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে উপভোগ করতে পারবেন। 


প্রিয় পাঠক, এতক্ষন নিজেকে ভালোবাসো এর ফলাফল আলোকপাত করলাম। চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায়  তার ৪র্থ উপায় অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ নিয়ে এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে। সে ব্যাপারে বুঝতে অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ নিয়ে নিম্নলিখিত আলোচ্য অংশটুকু সময় নিয়ে পড়ুন।


অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ

জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায়  সে ব্যাপারে জানতে হলে অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ কে আপনার সম্মান করতে হবে। কথায় বলে - তুই দেওয়ারে, মুই দেওয়া। আপনি অন্যদের সম্মান করলে, অন্যরাও আপনাকে সম্মান করবে। এর গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবেনা। 


অন্যরা আনন্দ পায় এবং উপকৃত হয় সেই রকম কাজে আপনার অংশগ্রহণে আপনার সামগ্রিকজীবন আরো অর্থবহ হবে। জীবনকে উপভোগ করার উপায় সমুহ খুঁজতে গেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাগুলোর মধ্যে ‘অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ’ করা যে একটা ফলদায়ক পন্থা এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।


উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির কথা কল্পনা করুন যার ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক রয়েছে। তাকে যদি আপনি আর্থিকভাবে বা মানসিক ভাবে সাপোর্ট করেন, স্বাভাবিকভাবে সে এই কাজ করে অনেক আনন্দ পাবে এবং তার এই ভালবাসার কাজের মাধ্যমে সে পৃথিবী বিখ্যাত একটা ছবির স্রষ্টা হতে পারেন। এ কাজ তাকে অনেক বেশি সন্তুষ্টি এবং নিজেকে সুখী এবং পরিপূর্ণ একজন মানুষ হিসেবে কল্পনা করবেন। তিনি তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন। নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে মনে করবেন। জীবনটাকে আগের চাইতে বেশি উপভোগ করতে পারবেন।


প্রিয় পাঠক এতক্ষন অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ করার সুবিধা জানলাম। চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তার ৫ম উপায় দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টির সুবিধা নিয়ে। সে ব্যাপারে জানতে দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টি

সুন্দর জীবন কিভাবে প্রত্যাশা করা যায় তা জানতে দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টির ক্ষমতা জানা দরকার। সামাজিক জীব হিসাবে আপনি একাকী জীবন কাটাতে পারেন না। নিজের আনন্দ এবং পরিপূর্ণতা অনুভব করার জন্য পারস্পরিক সম্পর্ক ও সামাজিক যোগাযোগে সময় ব্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 


বর্তমানে অনেকে ‘দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টি’ করাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকে। বাস্তবে তা সঠিক নয়। মানুষ হিসাবে আপনি আপনার জীবনকে সামগ্রিক মঙ্গল এবং জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে নিশ্চয়ই উপভোগ করতে চান? এ কারনে বেশিরভাগ সমাজবিজ্ঞানীরা মতামত দিবেন যে, ‘দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টি’ করা ছাড়া জীবনকে পরিপূর্ণ উপভোগ করার কোন সহজ রাস্তা নেই।


চ্লুন ব্যাপারটাকে একটা উদাহরণের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করি। একজন ব্যক্তির কথা কল্পনা করুন। যিনি নিজেকে খুব বেশি একাকী বোধ করছেন। এখন সে যদি বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের কাছে আরো গভীর সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসমূহে যোগদান করেন তখন নিজেকে সে আর একা মনে করবেন না এবং  আগের চাইতে বেশি আনন্দ ও সন্তুষ্টি অনুভব করতে শুরু করবে।


গবেষণায়ও প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, ‘দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টি’তে নিয়োজিত ব্যক্তিরা অনেক বেশি নিজেদেরকে সুস্থ অনুভব করেন। তাদের মধ্যে বিষন্নতা, উদ্বেগ এবং স্ট্রোকের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কম থাকে।


জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে উপভোগ এর জন্য পারস্পরিক ‘দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টি’ তে অনেক বেশি পাড়ঙ্গম হতে হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। 


প্রিয় পাঠক এতক্ষন দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টির সক্ষমতা নিয়ে আলাপ করলাম। এবার চলুন কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তার ৬ষ্ট উপায় নতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন এর গুরুত্ব নিয়ে। সে ব্যাপারে জানতেনতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন অংশ পড়ুন।

নতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন

কি করলে জীবনে সুখী হওয়া যায় তা জানতে নতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন করা যে কত জরুরী তা বলে শেষ করা যাবেনা। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, গতকাল যা নতুন ছিল, আজ তা পুরাতন। নতুনকে মেনে নেওয়া এবং তা রপ্ত করা ছাড়া কোন উপায় নেই।


যখন ব্যক্তিরা নতুন অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুখ থাকে, তখন তারা নতুন জিনিস চেষ্টা করার, নতুন লোকের সাথে দেখা করার এবং তাদের দিগন্ত প্রসারিত করার সর্ব চেষ্টা চালিয়ে যায়। এর ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়, বিশ্ব সম্পর্কে আরও ভাল বোঝাপড়া হয় এবং সে আরও পরিপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে পারে।


উদাহরণস্বরূপ, এমন একজন ব্যক্তির কথা কল্পনা করুন যিনি পরিবর্তনকে সদা ভয় পান। তাকে স্টাডি করলে দেখবেন, সে সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করে। সব কিছুতে একটা কাহিনী বের করা তার একটা অভ্যাসে পরিনত হয়। অপর পক্ষে পরিবর্তনকে যে আলিঙ্গন করতে উন্মুখ থাকেন সে ওখান থেকে ঠিক‌ই একটা পথ বের করে আনতে পারেন। নতুনকে আয়ত্বে আনার জন্য নতুন নতুন লোকের সাথে সখ্যতা হয় এবং নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পায়। তার বর্ধিত আত্মবিশ্বাস, সাফল্যের অনুভূতি তাকে বিশ্ব সম্পর্কে একটা পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি উপহার দেয়। পরিবর্তনকে সে তার আয়ত্বে নিয়ে নিজে ব্যক্তিগত উন্নয়ন ঘটায়। অপরদিকে নেতিবাচক চিন্তাকারিরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। তার জীবনকে আর অর্থবহ ভাবে উপভোগ করা হয়না। 


‘নতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন’ এর জন্য উন্মুখ হওয়া একজন তার জীবনে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পার। যেমন, তার সম্পদ বৃদ্ধি পায়, সে আরো নিজেকে সুখী মনে করে এবং একটি পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে সে আচ্ছন থাকে। 


মোট কথায়, যে কোন পরিবর্তনকে মেনে নেওয়াই হচ্ছে জীবনকে উপভোগ করার অন্যতম একটা সেরা উপায়। প্রিয় পাঠক এতক্ষন নতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন করার উপকারিতা জানলাম।চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় সে বিষয়ে ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এর দরকার নিয়ে। সে ব্যাপারে জানতে ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস সময় নিয়ে পড়ুন।

ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় তা জানতে ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের অনস্বীকার্যতা জানা অত্যন্ত জরুরী। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল এবং জীবন উপভোগের মুল মন্ত্র। আর সে স্বাস্থ্য আপনি অর্জন করতে পারেন শুধুমাত্র নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস থেকে।


উদাহরণস্বরূপ, এমন একজন ব্যক্তির কথা স্বরন করুন যিনি অনেক বেশী ক্লান্ত এবং কাজের প্রেসার অনুভব করছেন। তার রুটিনে যদি নিয়মিত ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করে দেন, যেমন প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করা, সাঁতার কাটা বা যোগব্যায়াম করা, আপনি অচিরেই দেখতে পারবেন তার কাজের গুনগত মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, মেজাজ উন্নত হয়েছে এবং দুঃচিন্তা কমে গেছে। 


গবেষকরা প্রমান করেছেন যে, যারা নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার খায় তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি ঘটে। তারা হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি থেকে বেঁচে যায়, পাশাপাশি বিষণ্নতা এবং কুচিন্তা থেকেও দূরে থাকতে পারেন।


জীবনকে উপভোগের জন্য ‘ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস’ এর কোন ঝুড়ি নেই এবং আপনার সামগ্রিক সুস্থতা এবং জীবনকে পরিপূর্ণ উপভোগের জন্য এটা অন্যতম বড় নিয়ামক। 


প্রিয় পাঠক এতক্ষন ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের সুবিধা নিয়ে বুঝলাম। চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তার ৮ম উপায় পরোপকারী  হওয়ার উপকারিতা নিয়ে। সে ব্যাপারে জানতে পরোপকারী  হওয়া নিয়ে আলোচনা অংশটুকু গুরুত্ব সহকারে পড়ুন।

পরোপকারী হওয়া

সুন্দর জীবন কিভাবে প্রত্যাশা করা যায় সে নিয়ে জানতে পরোপকারী  হওয়া ছাড়া কোন রাস্তা নেই। কারন আপনি অন্যের উপকার না করলে কেও আপনার উপকার‌‌ও করবেনা, এটাই স্বাভাবিক। বিনা পারিশ্রমিকে ‘পরোপকারী  হওয়া’ ব্যক্তিকে একজন সেচ্ছাসেবক বলা যায়। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের সময় এবং অর্থ সম্পদ অন্যদের কল্যাণার্থে উৎস্বর্গ করে। 


উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির কথা কল্পনা করুন। যিনি সমাজের কোন উপকারে আসেন না। যিনি সবসময় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ সমস্ত লোক নিজেকে যতই সুখী মনে করুক আসলে সে সুখী নয়। সুখি হ‌ওয়ার ভান করে।


গবেষণায় দেখা গেছে যে ‘পরোপকারী  হওয়া’  ব্যক্তিরা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকে বেশ ভাল থাকে। তাদের মধ্যে বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং চাপ সহ জীবনের নানা অসন্তোষ কম থাকে।জীবনকে সত্যিকারের উপভোগ করতে হলে আনন্দ ও পরিপূর্ণতা পেতে হলে সময় বের করে স্বেচ্ছাসেবক বা ‘পরোপকারী  হওয়া’ ও দরকার তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।


প্রিয় পাঠক - এতক্ষন পরোপকারী  হওয়ার সুবিধা আলোকপাত করলাম। চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তার ৯ম উপায় মননশীলতার পাওয়ার নিয়ে। সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে মননশীলতা পার্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মননশীলতা

কি করলে জীবনে সুখী হওয়া যায় তা জানতে মননশীলতার একটা ভুমিকা আছে। আপনি মননশীল না হলে সমাজ আপনার থেকে কোন উপকার পাবেনা, বিনিময়ে সমাজও আপনার জন্য কোন উপকার করবেনা। 


ফলে আপনি আপনার জীবন উপভোগের অযোগ্য হয়ে পড়বেন। আমরা কথা বলার ক্ষেত্রে প্রায়শই বলে থাকি লোকটার মন আছে। তার মানে হচ্ছে সমাজের প্রতি লোকটার ভালো চিন্তা আছে যা দিয়ে সমাজ উপকৃত হতে পারে। 


যার মন আছে তাকে আমরা ‘মননশীলতা’ সম্পন্ন লোক বলতে পারি। গবেষণায় দেখা গেছে যে্,  মননশীলতা একজন মানুষের জীবনে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে নিয়ে আসে। 


মননশীল লোক তার পুরো জীবনটা সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে। মননশীল লোকেরাই পরিপূর্ণ এবং অর্থপূর্ণ জীবন পার করতে পারে। তার দ্বারা সমাজের কোন অপকার হয়না। জীবনকে আরও সহজ ও সুন্দর করে উপভোগকরতে একজন মননশীল লোক হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। 


আশা করি ‘মননশীলতা’ সম্পন্ন লোকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বুঝেছেন। চলুন এবার জানা যাক, কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় ১০ম উপায় সর্বশেষ ও সবচেয়ে বেশী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন একটি উপায় অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনের ক্ষমতা নিয়ে। সে ব্যাপারে জানতে অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন নিয়ে আলোচনাটুকু  মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ‌ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন

জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় তার রুপরেখা ১০টা উপায়ের মধ্যে অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ‌ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ধারন ধারনার গুরুত্ব অপরিসীম।


অর্জন যোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন‌ই আপনার সুখ ও পরিপূর্ণতা নিয়ে আসতে পারে। জীবন আসলেই সুন্দর এ কথাটি প্রমানিত হবে তখনি যখনি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের পেছনে আপনি স্বপ্ন দেখবেন। 


আপনাকে একটা অর্জন যোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সে অনুযায়ী আপনার ২৪ঘণ্টাকে ল্ক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সামাজিক কাজ করার জন্য সময়কে ভাগ করে নিতে হবে। কোন একটিকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে আপনার জীবনকে উপভোগ একপ্রকার অসম্ভবই বটে

মোট কথা, সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য রেখে চলতে হবে। 

উদাহরণস্বরূপ, একজন অতৃপ্ত ব্যক্তির কথা কল্পনা করুন যিনি দিশাহীন ও প্রচন্ড চাপ বোধ করেন। এই ব্যাক্তিটি যদি একটু সময় ম্যানেজ করে নতুন কোন জায়গায় বেরিয়ে আসতে পারেন, তাহলে সে কাজের প্রতি আবার মনোযোগ ফিরিয়ে তার চাপ ও হতাশাকে দুরে ঠেলে দিতে পারেন। এর কার্যকারিতা আপনি নিজেই একবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।


গবেষণা প্রমান করেছে যে ‘ অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন’ বজায় রাখা ব্যাক্তিরা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্রমাগত উন্নতি করে থাকে। এ সব লোকদের মধ্যে চাপ এবং উদ্বেগ হ্রাস পায়, সুখ এবং জীবনের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পায়।


প্রিয় পাঠক এতক্ষন অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ধারণের সুবিধা আলোকপাত করলাম।কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় তা জানতে ১০ টি উপায় উল্লেখ করেছি। আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। না বুঝে থাকলে সুচিপত্র দেখে আবার দয়া করে পড়ে নিন। যদি ঠিকঠাকভাবে বুঝে থাকেন তাহলে সমাপনী আলোচনায় মনোযোগ দিন।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক, জীবন একটি অবিশ্বাস্য উপহার। এই উপহারকে আমাদের পুরোপুরি উপভোগ করা উচিত। আমরা প্রত্যকেই সুন্দর জীবন উপভোগ করতেও  চাই। কিন্তু আমরা জানিনা সব সমাধান গুলো।তাই আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। 


পুরো আর্টিকেলে নিম্নোক্ত ১০ টি উপায়ে কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় সে সম্পর্কে আপনি অবগত হয়েছেন।


বুলেট পয়েন্ট গুলোঃ 

  • ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা
  • কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং প্রশংসা করার অভ্যাস
  • নিজেকে ভালোবাসো
  • দৃড় সম্পর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ সৃষ্টি
  • অন্যজনের আবেগ এবং আগ্রহ অনুসরণ
  • নতুন বা পরিবর্তনকে স্বাগত বা আলিঙ্গন 
  • ব্যায়াম, পুষ্টি, এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস 
  • পরোপকারী হওয়া
  • মননশীলতা 
  • অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ‌ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন

আর যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অনুরোধ করব - আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত  আবার মনোযোগ  দিয়ে পড়ে নিন। কারন আপনার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হ‌ওয়া উচিত জীবনকে উপভোগ করে নিজেকে সুখী মানুষ হিসাবে জীবন পার করা।

আর এ জন্য‌ই দালাই লামা বলেছেন "আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য সুখী হওয়া।" 

এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায় পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে লিখুন। ভালো লাগলে পোষ্টটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।  


পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

অর্ডিনারি আইটি কী?