রাইট এন্ড গ্রু https://www.wewritengrow.com/2022/12/blog-post_25.html

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে

 স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে? আপনি কি তা জানেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে তা জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেই স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে।

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে তা ছাড়াও এই পোস্টে আমি আপনাকে আরো জানাবো স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায়, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান সম্পর্কে।

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে - স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায়

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে

শুরুতেই আমরা আলোচনা করব স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে তা সম্পর্কে। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে তা জানার আগে আমি আপনাকে জানাবো প্রাণী টিস্যুর বিভিন্ন প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত। এরপর বলবো স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা স্কুলে বা কলেজে পড়াশোনা করেন তাদের পাঠ্য বইয়ে কোষ, টিস্যু, জীব টিস্যু, উদ্ভিদ টিস্যু সম্পর্কে আলোচনা করা আছে।

অনেক শিক্ষার্থীরাই টিস্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না। আমাদের শরীর লক্ষ লক্ষ কোষ দ্বারা তৈরি। এই একেকটি কোষ তাদের নিজস্ব জায়গা অনুযায়ী নিজ নিজ কাজ করে সম্পন্ন করে থাকে। এই কোষ গুলো আবার অনেক গুলো একত্রিত হয়ে টিস্যু গঠন করে। একটি টিস্যুতে যেই সকল কোষ গুলো অবস্থান করে তারা প্রত্যেকেই এক ই প্রকৃতির। তারা প্রত্যেকেই এক ই কাজ করে থাকে।  

যেমন আপনার চোখের কোষের কাজ দেখা। আবার ত্বকের কোষের কাজ ত্বক করে, স্নায়ু কোষের কাজ স্নায়ু কোষ করে থাকে। এরকম একেকটি কোষের কাজ একেকটি। তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করে তাদের নিজ নিজ কাজ করে থাকে।

প্রাণী টিস্যুর কোষ গুলো কেমন, কাজের গঠন, কোষের সংখ্যা অনুযায়ী প্রাণী টিস্যুকে ৪ টি মূল ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো: আবরণী টিস্যু, যোজক টিস্যু, পেশী টিস্যু এবং স্নায়ু টিস্যু। আবরণী টিস্যু: এই টিস্যু আবরণ দেওয়ার কাজ করে। যোজক টিস্যু: এই টিস্যু বিভিন্ন সংযোগ ঘটায়। পেশী টিস্যু: এই টিস্যু সংকোচন প্রসারণ এর কাজ করে। স্নায়ু টিস্যু: এই টিস্যু সংবেদনার কাজ করে। 

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর প্রকারভেদ 

এখন আমি আপনাকে বলবো আবরণী টিস্যু ও এর প্রকারভেদ গুলো নিয়ে। এই আবরণী টিস্যুর ই একটি প্রকার হলো স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে তা জানার আগে আবরণী টিস্যুর অন্যান্য প্রকারভেদ গুলো জেনে নেই। 

আরো পড়ুন: লেবুর ৩০টি উপকারিতা ও অপকারিতার বিস্তারিত বিশ্লেষণ

আবরণী টিস্যু: কোনো অঙ্গ বা নালীর আবরণী হিসেবে কাজ করে থাকে আবরণী টিস্যু। আবরণী টিস্যুর কোষ গুলো ঘন সন্নিবেশিত এবং ভিত্তি পর্দার ওপর নির্ভর করে। এই আবরণী টিস্যুকে প্রধানত ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন: স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু, কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু এবং কলামনার আবরণী টিস্যু। 

স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু: ল্যাটিন শব্দ Squama থেকে এই শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হলো মাছের আঁইশ। স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যুর কোষ গুলো মাছের আঁইশের মতো গঠিত। এজন্য এর নামকরণ করা হয়েছে স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু। এই কোষ গুলো নিউক্লিয়াস আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে। বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্রাচীরে এই স্কোয়ামাস আবরণী টিস্যু অবস্থিত। আবরণ দেওয়া ছাড়াও বৃক্কের বর্জ্য পদার্থ ছাঁকন কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। 

কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু: এই আবরণী টিস্যু গুলো দেখতে কিউব বা ঘনকের মতো। এই আবরণী টিস্যু গুলো আকার হলো এদের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা সমান। এই আবরণী টিস্যু গুলোর নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয়ে থাকে। বৃক্কের সংগ্ৰাহক নালিকায় কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যু পাওয়া যায়। বৃক্কের সংগ্ৰাহক নালিকার কাজ হলো পরিশোষণ করা। তাই কিউবয়ডাল আবরণী টিস্যুর আবরণ দেওয়া ছাড়াও আরো একটি কাজ রয়েছে সেটা হলো পরিশোষণ করা।

কলামনার আবরণী টিস্যু: কলাম শব্দটি থেকে কলামনার আবরণী শব্দটি এসেছে। এই শব্দটির অর্থ হলো স্তম্ভ। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই আবরণী টিস্যু কলাম বা স্তম্ভের মতো। এগুলো সরু ও লম্বা আকৃতির হয়ে থাকে। এদের নিউক্লিয়াস আকারে অনেক বড় হয়ে থাকে। প্রাণীর অন্ত্রের অন্ত প্রাচীরে এরা অবস্থিত। আবরণ দেওয়া ছাড়াও এই টিস্যুর আরো একটি কাজ রয়েছে সেটি হলো ক্ষরণ, রক্ষণ এবং শোষণ করা।

ভিত্তি পর্দার ওপর কিভাবে সজ্জিত থাকে তার ওপর ভিত্তি করে এই আবরণী টিস্যুকে আবার আরো ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো: সাধারণর আবরণী টিস্যু, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু এবং সিউডো আবরণী টিস্যু। সাধারণর আবরণী টিস্যু: সাধারণর আবরণী টিস্যু গুলো এক স্তরে সজ্জিত থাকে। বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্রাচীরে, বৃক্কের সংগ্ৰাহক নালিকায় এবং অন্ত্রের অন্ত প্রাচীরে এই সাধারণর আবরণী টিস্যু পাওয়া যায়। 

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু: স্ট্র্যাটিফাইড শব্দটি স্ট্র্যাটাম শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো স্তরের একটি সিরিজ। অর্থাৎ একটির পর একটি সিরিজ থাকবে। এরা একাধিক স্তরে সজ্জিত থাকে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ত্বকে এই ধরনের টিস্যু দেখা যায়। 

সিউডো আবরণী টিস্যু: সিউডো শব্দটির অর্থ হলো নকল। সিউডো আবরণী টিস্যু গুলো দেখতে সাধারণ আবরণী টিস্যুর মতো ভিত্তি পর্দার ওপর এক ই স্তরে সজ্জিত থাকে বলে মনে হয়। কিন্তু মোটেও নয়। এই সিউডো আবরণী টিস্যু একটি স্তরেই সজ্জিত থাকে। কিন্তু এই টিস্যুর কোষ গুলো দেখতে অনেক লম্বা লম্বা হওয়ায় এদের দেখতে একাধিক স্তর মনে হয়। এজন্য একে নকল আবরণী টিস্যু বলে। মানব দেহের ট্রাকিয়াতে এই সিউডো আবরণী টিস্যু পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আমরা জানবো স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি এবং স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান। 

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায়। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে কাকে বলে তা এতক্ষণে জেনেছি। এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান। আপনি কি জানেন স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান। 

অনেক শিক্ষার্থীরাই জানেনা যে স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান কোথায়। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান কোথায় তা যদি না জেনে থাকেন তবে চলুন দেখে নেই স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান কোথায়।

আরো পড়ুন: ৯ উপায়ে কিভবে সুন্দর হওয়া যায় - রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান: ভিত্তি পর্দার ওপর বিন্যস্ত করে আবরণী টিস্যুকে যে ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে তার ই অন্তর্ভুক্ত হলো এই স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ত্বকে এই আবরণী টিস্যু পাওয়া যায়। যেমন: মানুষ, গরু, ছাগল, বিড়াল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর ত্বক এই আবরণী টিস্যু দিয়ে তৈরি। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় বা স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান সম্পর্কে আশাকরি তা বুঝতে পেরেছেন। এরপর আমরা জানবো স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি।

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ

আপনি কি জানেন স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ। অনেকেই আমার কাছে জিজ্ঞেস করেছেন স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ না জানলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আমি এখন আপনাকে বলবো স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান সম্পর্কে পূর্বেই বলেছি। চলুন তাহলে দেখে নেই স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ: 

আরো পড়ুন: কোন ভিটামিন কি কাজ করে? - সকল ভিটামিনের ৫০+ কার্যকারিতা

স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু যেহেতু মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ত্বকে থাকে। তাই এই টিস্যুর প্রধান কাজ ই হচ্ছে ত্বকের আবরণী হিসেবে কাজ করা। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের শরীরের ত্বকের আবরণী হিসেবে কাজ করে এই স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু। স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ আশাকরি তা বুঝতে পেরেছেন। 

শেষ কথা: স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে - স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায়

বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট। এই পোস্টের মাধ্যমে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কাকে বলে, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায় স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যু কোথায় পাওয়া যায়, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান সম্পর্কে।

আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন এবং বুঝতে পেরেছেন স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি, স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে তারাও বুঝতে পারেন স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর কাজ কি এবং স্ট্র্যাটিফাইড আবরণী টিস্যুর অবস্থান। এই পোস্টে আপনার যদি কোথাও কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে আবার পড়ুন অথবা কমেন্ট করে জানান। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই। ২২০৭০


পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

অর্ডিনারি আইটি কী?