প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি - প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্বন্ধে জানতে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকে আমি বলবো প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্বন্ধে। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্বন্ধে।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্বন্ধে ভালোভাবে বুঝতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি - প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
- জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
- জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল
- প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
- জন্ম নিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো উপায়
- শেষ কথা
জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষেরাই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি গ্ৰহণ করার ফলে প্রতিটি ঘরে ঘরে ২/৩ টির বেশি বাচ্চা খুব কম ই দেখা।
আগেকার দিনে দেখা যেতো ৭ টির ও বেশী বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে নারীরা। কারণ তারা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তখনকার দিনে কেউ কেউ আবার প্রাকৃতিক ঔষধি গাছ গাছালির থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি গ্ৰহণ করতেন। তবে খুব কম মানুষ ই এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতেন।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার না করলে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং বৃদ্ধির পাবে দারিদ্রতা। এজন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সবাইকে জানতে হবে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যথা: পিল বা বড়ি, কনডম, ইনজেকশন, প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। পিল বা বড়ি, কনডম, ইনজেকশন প্রভৃতি অনেক সময় শরীরের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে বা এগুলো সবার শরীরে খাপ খায় না।
আরো পড়ুন: রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস - রোজা থাকা অবস্থায় মিলনের নিয়ম
ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো কারো আবার কোনো সমস্যা না হলেও তারা এসব পদ্ধতি অনুসরণ করতে চান না। তাদের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়। যা সম্পর্কে আমি পরবর্তীতে বলবো। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল
বৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরি এই পিল গুলো সহজলভ্য, কার্যকরী এবং নিরাপদ। জন্ম নিয়ন্ত্রণে এই পিল গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের এই পিল গুলো ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওভুলেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
তবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল খাওয়ার পরেও প্রথম সপ্তাহে কনডম ব্যবহার করতে হবে। কারণ পিল খাওয়ার সাথে সাথেই এর কার্যকর শুরু হয় না। পিল খাওয়ার কিছু দিন পর থেকে এর কার্যকর শুরু হয়। কোনো মহিলার যদি রক্ত স্বল্পতা, প্রেগনেন্সি, সার্ভিক্সে লোকালি কোনো এলিশন বা জরায়ু টিউমার থেকে থাকে তাহলে এ ধরনের পিল তারা খেতে পারবে না।
আরো পড়ুন: রমজানের রোজার সময় কখন সহবাস করা যাবে জেনে নিন
এই কারণে পিল খাওয়া শুরুর পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পিল খেতে হবে। আপনার কোনো সমস্যা আছে কিনা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আপনার জন্য উপযুক্ত পিল ডাক্তার দিবেন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পিল পাওয়া যায়। যেমন:
- Femicon
- Noret 28
- Conrena - R
এরপর বলবো প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কে বলা হয় ক্যালেন্ডার ম্যাথোড। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় ক্যালেন্ডার ম্যাথোড সম্পর্কে এখন বলবো। মহিলাদের স্বাভাবিক ঋতুচক্রে এমন কিছু দিন রয়েছে যাকে সেইফ পিরিয়ড বলে। আর এমন কিছু দিন রয়েছে যাকে ডেনজার পিরিয়ড বলে। সেইফ পিরিয়ড এ সহবাস করলে গর্ভধারণের কোনো ঝুঁকি থাকে না। আর ডেনজার পিরিয়ডে সহবাস করলে গর্ভধারণের ঝুঁকি থাকে। এসময় সহবাস করলে কনডম ব্যবহার করলেই হবে।
এখন সেইফ পিরিয়ড আর ডেনজার পিরিয়ডের সময় কোনটি তা সম্পর্কে বলবো। সবার আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার পিরিয়ড ঠিক মতো হয় কি না। প্রতিবার কয়দিন অন্তর পিরিয়ড হয়। সর্বনিম্ন যতদিন পর পিরিয়ড হয় তার থেকে ১৮ দিন বাদ দিবেন। আপনার মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে এই দিনটি ই হলো আপনার জন্য সবথেকে অনিরাপদ দিন। আবার সর্বোচ্চ যতদিন পর পিরিয়ড হয় তার থেকে ১০ দিন বাদ দিবেন।
আপনার মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে এই দিনটি ই হলো আপনার জন্য সবথেকে অনিরাপদ দিন। ধরুন আপনার মাসিক ৩০ থেকে ২০ দিন পর পর হয়। তাহলে ৩০-১৮=১২। আপনার পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রথম ১০/১১ দিন আপনার সেইফ পিরিয়ড এর সময়। আর এই ১১ নম্বর দিন ই আপনার সর্বশেষ নিরাপদ দিন। এরপর থেকে আপনার ডেনজার পিরিয়ড শুরু। ডেনজার পিরিয়ড এর সময় সহবাস করলে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
এই ছিল আমাদের আজকের প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় টি অবলম্বন করলেও আপনার আপনার কিছুটা ঝুঁকি থাকবে। তারপর ও প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় টি সবথেকে নিরাপদ।
জন্ম নিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো উপায়
জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়াও আপনি আরো একটি পদ্ধতি গ্ৰহণ করতে পারেন। তবে আমি আগেই বলে রাখি এই পদ্ধতটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়। এতে কিছুটা ঝুঁকি থাকে।
আরো পড়ুন: রোজা রেখে ইনজেকশন নেয়া যাবে কি না জেনে নিন
এই পদ্ধতিটি হলো সহবাস করার সময় পুরুষের যখন বীর্য বের হওয়ার সময় হয় তখন স্বামী তার বীর্য স্ত্রীর শরীর থেকে বাইরে বের করে দিবে। স্ত্রীর শরীরের ভিতর যেন কোনোভাবেই বীর্য প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এভাবে করে আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে এটা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এটিও অনকটাই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় এর অন্তর্ভুক্ত।
শেষ কথা: প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি - প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায়
আজকে আমি এই পোস্টে আলোচনা করেছি প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্বন্ধে। আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ২২০৭০
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন