রাইট এন্ড গ্রু https://www.wewritengrow.com/2022/12/blog-post.html

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় - হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ

প্রিয় পাঠক হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো কী তা নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামটি হয়তো আপনারা অনেকেই শুনেছেন। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো কী তা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

চলুন তাহলে দেখে নেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে আরো জানানো হবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয়, হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় তা সম্পর্কে।

পেজ কনটেন্ট সূচিপত্র: হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় - হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে

হাইপোগ্লাইসেমিয়া খুবই একটি সাধারণ রোগ। প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারেই কম বেশি এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে তা অনেকেই জানেন না। আমার কাছে আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে তা যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে নিচে আমার লেখা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে তা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে: রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়াকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। গ্লুকোজের মাত্রা ৩.৫ মিলিমিটার পার লিটার এর নিচে নেমে যাওয়াকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। ডায়াবেটিস এর রোগীরা ডায়াবেটিস এর যে ঔষধ গুলো সেবন করে বা ইনসুলিন নেয় বা কিডনির কোনো সমস্যার কারণে রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে যায় বা নীল হয়ে যায় তখনই সেটা হলো হাইপোগ্লাইসেমিয়া। পরবর্তীতে আপনি আরো জানতে পারবেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয়। কারণ আমি আপনাকে জানাবো হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয়।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় 

পূর্বে আমি বলেছি হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে সেটি পড়েই আপনি হয়তো কিছুটা বুঝতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় তা যদি আপনি বুঝতে না পারেন তাহলে নিচে দেখুন হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয়। 

আরো পড়ুন: বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২২ প্রতিপাদ্য - ডায়াবেটিস দিবস কর্মসূচি

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয়: হাইপোগ্লাইসেমিয়া যে শুধু মাত্র ডায়াবেটিস রোগীদের ই হয় এমন নয়। এটি ডায়াবেটিস ছাড়া অন্যান্য রোগীদের যে হবে না এমন নয়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় তাকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। ১ টি হলো রোগীর মেডিকেল ইস্যু এবং অন্যটি হলো রোগীর জীবন ব্যাবস্থা। মেডিকেল ইস্যু হলো রোগীর ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য যেসব রোগ আছে সেসব রোগের চিকিৎসার কারণে যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। 

আবার অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তারা খুব দ্রুত সেটা কমাতে গিয়ে একেবারে কমে যায় ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। যাদের পূর্বে এক বা একাধিক বার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়েছিল তাদের পুণরায় হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো উপলব্ধি করতে পারেন না। 

রোগী যদি ১০-১২ বছরের ও অধিক সময় ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকে তাহলে সেই রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। অনেক সময় লিভারে আক্রান্ত রোগীদের ও হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের যদি কিডনি নষ্ট বা সমস্যা থাকে তাহলে ইনসুলিন প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যেতে পারে না ‌‌ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। 

ডায়াবেটিস রোগীদের যদি হাইপো থাইরয়েডিজম বা অ্যাডিসনস রোগ হয় এবং সেই রোগের যদি সঠিক চিকিৎসা না করেন তাহলে রোগীর হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। আর ডায়াবেটিস এর রোগীর জীবন ব্যাবস্থার কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে সেটা হলো জীবন ব্যাবস্থার ইস্যু। 

আপনি যদি অনেক বেশি পরিশ্রম করতে অভ্যস্ত না থাকা সত্ত্বেও অত্যাধিক পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার শরীরের সুগার লেবেল কমে যাবে। ফলস্বরূপ আপনার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হবে। আবার যদি আপনি অনেক দিন যাবত খুব কম ডায়েটের খাবার খান তাহলে আপনার শরীর সেটা মানিয়ে নিতে না পেরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হবে। এছাড়াও আপনি যদি অনেক বেশি ব্যায়াম যেটা আপনার শরীরের সাথে যায় না সেই ব্যায়াম গুলো করে থাকেন তাহলে আপনার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হবে। একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে ৪.০ মিলি মোর পার লিটার এর নিচে নেমে আসলেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। 

আরো পড়ুন: রোজা রেখে ইনজেকশন নেয়া যাবে কি না জেনে নিন

আশাকরি হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় তা আপনি বুঝতে পেরেছেন। পরবর্তীতে আরো জানতে পারবেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় গুলো কী এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ 

আপনি কি জানেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো কী। প্রত্যেকটি মানুষের ই জানা উচিৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো কী। আপনি যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়াতে আক্রান্ত না ও হয়ে থাকেন তারপরও আপনাকে জানতে হবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো কী। কারণ আপনার আশেপাশের যেকোনো মানুষ যেকোনো সময় ই এই হাইপোগ্লাইসেমিয়া তে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। তখন আপনাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা গুলো করতে হবে। যেটা আমি পরবর্তীতে বলবো। 

এখন আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো। চলুন তাহলে দেখে নেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো কী। হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ:

  • খুব অস্থিরতা অনুভব করা 
  • প্রচুর পরিমাণে ক্ষুধা লাগা এবং ক্ষুধায় হাত পা কাঁপতে থাকা 
  • বুক ধড়ফড় করা 
  • জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া 
  • শরীর থেকে ঘাম ঝড়া 

এই হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো সব একসাথে দেখা দিলে বুঝতে পারবেন রোগী হাইপোগ্লাইসেমিয়া তে আক্রান্ত হবে বা হয়ে গিয়েছে। এখন আপনাকে জানতে হবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা গুলো কী। হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা কী তা পরবর্তীতে জানবো।

হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয়। হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা

হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা গুলো প্রত্যেকটি মানুষের ই জানা খুবই জরুরি। রাস্তাঘাটে বাসা বাড়িতে যেকোনো সময় যদি ডায়াবেটিস এর কোনো রোগীর মধ্যে হঠাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো দেখেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা করতে হবে।

এজন্য হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো আমি পূর্বেই বলেছি। চলুন তাহলে দেখে নেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা কী। হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা: 

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় সেখানেই বলেছিলাম হাইপোগ্লাইসেমিয়া সুগার লেবেল কমে গেলে হয়। এক টেবিল চামচ চিনি এবং মধু পানিতে গুলিয়ে রোগীকে দিতে হবে অথবা আধা কাপ ফলের রস দিতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট পর ব্লাড সুগার টা মেপে দেখতে হবে। যতক্ষণ না রোগীর ব্লাড সুগার টা ৫.৬ এর কাছাকাছি আসছে ততক্ষণ রোগীকে চিনির মিশ্রণ বা ফলের রস বার বার দিতে হবে। এরকম ৫.৬ এর ওপরে সুগার লেবেল গেলে অন্য কোনো খাবার খেয়ে নিবে। 

হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় তা আপনাকে পূর্বেই বলেছি। এজন্য যেসব রোগীরা বাইরে অফিস বা অন্য কোনো কাজে দৈনিক বের হন তাদের ব্যাগে ২/৪ টা ক্যান্ডি রাখতে পারেন। হাইপোগ্লাইসেমিয়া তে আক্রান্ত রোগীরা যদি দৈনিক বা মাঝেমধ্যে বাইরে বের হন বা বাইরে চাকরি বা অন্যান্য কর্মস্থলে থাকেন তাহলে তার আশেপাশের মানুষকে জানিয়ে রাখতে হবে যে সে যেকোনো সময়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া তবে আক্রান্ত হতে পারে। 

আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস এর ইতিহাস - ডায়াবেটিস রোগের ৬ লক্ষণ

এই হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ গুলো দেখলে তারা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় হিসেবে কী করবে তা জানিয়ে নিতে হবে। আবার যদি কোনো রোগীর বাসার সবাই করমস্থলে থাকে তখন রোগীর বাসার কাজের লোক অথবা বাসার আশেপাশের ঘরের মানুষদের কে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা গুলো আগেই জানিয়ে রাখতে হবে।

শেষ আলোচনা: হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় - হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ

প্রিয় পাঠক এই ছিল আমাদের আজকের পোস্ট। আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে করণীয়, হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় তা সম্পর্কে। 

আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে, হাইপোগ্লাইসেমিয়া কেন হয় বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাব হয় এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া লক্ষণ, হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসা। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই। ২২০৭০


পরিচিতদেরকে জানাতে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

অর্ডিনারি আইটি কী?